আসছে পবিত্র ঈদ উল আজহার আগের তিনদিন ও পরের তিনদিন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ছাড়া ফেরিতে সাধারণ ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান পারাপার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গত রোববার ঢাকার বিদ্যুৎ ভবনে পবিত্র ঈদ উল আজহা উপলক্ষে এক সভা হয়। সেই সভায় লঞ্চ, ফেরি ও অন্যান্য জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উক্ত সভার সভাপতিত্ব করেন মাননীয় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
সভায় আরও জানানো হয়, রাতে সব ধরনের মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বড় বাল্কহেড চলাচলও বন্ধ থাকবে। এছাড়াও কোরবানি ঈদের আগের পাঁচদিন ও পরের পাঁচদিন মোট দশদিন দিনের বেলায়ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে।
সভার মাননীয় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী টিম ওয়ার্কের প্রতি গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াতে গত ঈদ উল ফিতরের সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় একটি টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে ভালো কাজ করেছিল। তাই আসছে ঈদ উল আজহায়ও সকলে মিলে ঈদ যাত্রাকে আরও নিরাপদ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “এবারের ঈদুল আজহায়ও সকলে মিলে ঈদযাত্রাকে আরও নিরাপদ রাখতে চাই। অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটলেও আমাদেরকে আরও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি আইনশৃংখলা বাহিনীকে ঈদ উপলক্ষে আরও সতর্ক হতে নির্দেশ দেন। কোরবানির পশু আনতে নৌপথে অনেক সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকে। এই ঈদে যাতে এমন কিছু না হয় সেদিকে তিনি লক্ষ্য রাখতে বলেন।
সেই সভায় আরও গুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য দেন। নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান প্রণয় কান্তি বিশ্বাস, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, নৌপুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম, কোস্ট গার্ড ঢাকা জোনের কমান্ডার রেজাউল হাসান উপস্থিত ছিলেন। নৌযান শ্রমিকনেতাদের মধ্যে মো. শাহ আলম, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার মহোদয়গণও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় তারা মূল্যবান বক্তব্য দেন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন।
তথ্যসূত্রঃ বিডি নিউজ ২৪.কম ও প্রথম আলো।