মজিবর সাহেব চায়ের দোকানে বসে আছেন। তার কপাল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কুঁচকে আছে। জরুরী প্রয়োজনে ৪টি ট্রাক প্রয়োজন। কোন স্ট্যান্ডে যাবেন, কিভাবে ভাড়া করবেন, ন্যায্য মূল্যে পাবেন কিনা চিন্তা করেই তাই মেজাজ আরও খারাপ হচ্ছে।
অন্যদিকে মঞ্জু মিয়া গলির সেলুনে সিরিয়াল দিয়ে ট্রাক স্ট্যান্ডে এসে বসেছেন। ট্রাকটা ৩দিন ধরে বসে আছে, ট্রিপ নেই।
উপরের দু’টি সমস্যাই পরিবহন খাতে বাংলাদেশের বাস্তব চিত্র। বাংলাদেশে প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক ট্রিপের অভাবে বসে থাকে। অন্যদিকে অনেক ব্যবসায়ী, গ্রাহক আছেন যারা ট্রাকের অভাবে সঠিক সময়ে পণ্য পাঠাতে পারছেন না।
পণ্য পরিবহনে এই সমস্যা আমাদের দেশসহ পুরো পৃথিবীতে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। কারণ একটা ট্রিপ শুরু থেকে শেষ হচ্ছে সেই প্রচলিত পদ্ধতিতে। যেখানে ট্রাক স্ট্যান্ডে যেয়ে ট্রাক ভাড়া করতে হচ্ছে। আর ট্রাক মালিকরাও অপেক্ষা করেন কখন নতুন কাস্টমার বা পার্টি আসবে।
ভেবে দেখুন তো, যদি এই পুরো প্রক্রিয়া আপনার মোবাইলেই করতে পারেন তাহলে কেমন হয়? যেখানে কাস্টমার, ড্রাইভার ও ট্রাক মালিক একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একে অন্যের সাথে যুক্ত থাকবে। ফলে চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে পণ্যের জোগান হবে দ্রুত ও ন্যায্য মূল্যে।
‘জিম-ডিজিটাল ট্রাক’ তেমনই একটি অনলাইন প্লাটফর্ম। এখানে ট্রাক মালিক, ড্রাইভার ও কাস্টমার একসাথে কাজ করেন একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। ফলে ট্রিপ তৈরি থেকে শুরু করে মালামাল গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত পুরো ব্যাপারটি আপনি মোবাইলেই করতে পারবেন।
বর্তমানে জিম দু’টি অ্যাপ নিয়ে কাজ করছে। জিম কাস্টমার অ্যাপ ও জিম পার্টনার অ্যাপ। অ্যাপ দু’টোর অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন গুগল প্লে-স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। জিম অ্যাপের আইওএস (IOS) ভার্সনও অচিরেই আসছে।
আপনি কেন জিম অ্যাপ ব্যবহার করবেনঃ
- জিমের কাস্টমার ও পার্টনার সবাই যাচাইকৃত
- শুধুমাত্র জিমে আছে ২৪/৭ কল সেন্টার
- বাংলাদেশে প্রচলিত সব ধরণের ট্রাক জিমে নিবন্ধন করা আছে
- জিমের ট্রাক যেতে পারে দেশের যে কোন প্রান্তে
- যে কোন বাণিজ্যিক কিংবা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ট্রাক নিশ্চিত করতে জিমই দিচ্ছে বাজারের সেরা সার্ভিস
পণ্য পরিবহন নিয়ে ভাবনার দিন শেষ। হাতের কাছে ট্রাক পেতে জিম তৈরি করছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক। সম্ভাবনার এই নতুন দিনে আপনাকে স্বাগতম।