বর্তমান সরকার মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে এই বিশাল প্রজেক্টের ঘোষণা দিয়েছে। মোংলা বন্দরের সক্ষমতা আগামী চার বছরের মধ্যে দ্বিগুণ করতে জার্মানি থেকে অত্যাধুনিক মোবাইল হারবার ক্রেন আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এই কাজ সম্পন্ন হলে বছরে আরও ১২ কোটি টাকা আয় বাড়বে মোংলা বন্দর থেকে। মোংলা বন্দরের জেটি সম্প্রসারণসহ সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করতে “মোংলা বন্দর আধুনিকায়ন প্রকল্প” নামে ছয় হাজার কোটি টাকার আরেকটি বিশাল প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন করে ৭৬৭ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প নিয়েছে বর্তমান সরকার।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে বন্দরের জন্য জলযান সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়েছে। একইসঙ্গে বন্দরের নিরাপদ চ্যানেল তৈরি, সমুদ্রগামী জাহাজ যথাযথভাবে হ্যান্ডলিং এবং দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জরুরি উদ্ধার কাজ পরিচালনায় সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ রয়েছে। এছাড়াও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গিয়েছে, প্রকল্পটি মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দরে নিরাপদ চ্যানেল তৈরি, সমুদ্রগামী জাহাজ সুষ্ঠুভাবে হ্যান্ডলিং ও দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জরুরি উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা আরও সহজ হবে। আগামী ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারির মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে বরাদ্দ করা ৭৬৭ কোটি ২৫ লাখ টাকার পুরোটাই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি বা একনেক এর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বন্দরসমূহে কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে টার্মিনাল সম্প্রসারণ এবং এ সম্পর্কিত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাদি বৃদ্ধির বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, যার সঙ্গে এ প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সংগতিপূর্ণ। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, “প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে মোংলা বন্দরে আসা ও ফিরে যাওয়া জাহাজগুলোর যথাযথ হ্যান্ডলিং, দ্রুত পাইলটিং ও পাইলটদের নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিতকরণ এবং দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জরুরি উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা সম্ভব হবে।”
প্রকল্পের এই বিষয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, “বন্দর সংশ্লিষ্ট নদীগুলোর নাব্যতা ঠিক রাখতে আমরা আউটারবারে ড্রেজিং করবো। সক্ষমতা বাড়াতে বেশ কয়েকটি প্রকল্প চালু রয়েছে। আশা করছি, পদ্মা সেতু চালু হলে মোংলা বন্দর হবে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের বড় কেন্দ্র।”
নতুন বছরে মোংলা বন্দরের উন্নয়নে এই প্রকল্প দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তথ্যসূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন.কম