বহুল আলোচিত নতুন সড়ক আইন বাস্তবায়ন হওয়ায় জরিমানা ছাড়া মূল ফি বা কর জমা দিয়ে যানবাহনের কাগজপত্র হালনাগাদ করার সময় বাড়ানো হয়েছে। গত ২০ জানুয়ারি (সোমবার) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (রুট পারমিট, ফিটনেস ও ট্যাক্স টোকেন) এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের জরিমানা ব্যতীত মূল ফি বা কর জমা দিয়ে গাড়ির কাগজপত্র আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত হালনাগাদ করা যাবে।
উক্ত প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, এই সময়সীমার পর জরিমানা ছাড়া কাগজপত্র হালনাগাদে আর কোন সুযোগ থাকবে না।
গত বছর সরকার কর্তৃক নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করার পর পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা কয়েকটি ধারা নিয়ে আপত্তি তুলে ধর্মঘটে যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান কামাল পরিবহন-মালিক শ্রমিকদের ধর্মঘটের পরিপ্রেক্ষিতে এক বৈঠক করার পর বলেন, এখন চালকরা যে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন, আপাতত সেভাবেই গাড়ি চালাতে পারবেন। লাইসেন্স হালনাগাদ করতে আগামী জুন মাস পর্যন্ত সময় বাড়ানো হবে।
নতুন সড়ক পরিবহন করপোরেশন আইন ২০২০ এর বিলে ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন’-এর জন্য এক হাজার কোটি টাকা মূলধনের প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে। এই মূলধন একশ কোটি সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত থাকবে।
৫১% শেয়ার মালিকানায় থাকবে বাংলাদেশ সরকার। জনগণের কাছে অবশিষ্ট ৪৫% শেয়ার বিক্রির বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়াও বিলে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন পরিচালনা পরিষদ’ গঠনের বিধানের কথাও বলা হয়েছে।
উক্ত পরিচালনা পরিষদে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক এবং জননিরাপত্তা বিভাগ, অর্থ এবং জননিরাপত্তা বিভাগ, ডিটিসিএ, স্থানীয় সরকার, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, শেয়ার হোল্ডারদের প্রতিনিধি এবং প্রশাসনিক বিভাগের প্রতিনিধিরাও থাকবেন।
তথ্যসূত্রঃ সময় নিউজ.টিভি