বর্তমানে পুরো পৃথিবীজুড়ে চলছে ডিজিটাল বিপ্লব। বিভিন্ন সেক্টরে লেগেছে ডিজিটালাইজেশনের হাওয়া। ফলে ব্যবসার ধরণ বদলে যাচ্ছে। যেমন, ট্যাক্সি খুঁজতে এখন আর বাইরে যেতে হয় না, ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরণের অ্যাপের মাধ্যমে এখন গাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়।
এই ডিজিটালাইজেশন ও আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে লজিস্টিকস ইন্ডাস্ট্রি ও পরিবহন ক্ষেত্রেও। মোবাইল কম্পিউটিং, ক্লাউড সার্ভিস ও অ্যানালাইটিক্সের মত ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেম ও ইন্টারনেট অফ থিংস (আইওটি) কাজকে করেছে আরও সহজ। লজিস্টিকস সার্ভিস সম্পর্কিত কোম্পানিগুলোর দৈনন্দিন অপারেশনে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে বিভিন্ন ধরণের আইওটি টুলস ও ডিভাইস।
অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য পরিবহনের জন্য তৃতীয় আরেকটি বা একাধিক প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নেয়। ফলে বিভিন্ন ধরণের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ধাপে ধাপে এই কাজ সম্পন্ন হয়। তবে আইওটি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এই প্রক্রিয়ার মাঝে এনেছে পরিবর্তন। বিভিন্ন ধরণের আধুনিক ডিভাইস, ডিস্ট্রিবিউটেড নেটয়ার্ক ও স্যলুশন সিস্টেমের প্রয়োগের ফলে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট হয়েছে আরও সহজ ও কার্যকরী। যেমন, লজিস্টিকস ম্যানেজমেন্টে পণ্য ট্র্যাকিং বা অ্যাসেট ট্র্যাকিং সুবিধা সময় ও টাকা দুটোই সাশ্রয় করছে।
সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গিয়েছে, উৎপাদন শিল্পের সাথে জড়িত শতকরা প্রায় ৭০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান তাদের লজিস্টিকস সার্ভিসের জন্য ডিজিটাল সেবার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। ফ্লিট ম্যানেজমেন্ট, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্টেও ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের আরএফ আইডি, চিপ নির্ভর ট্র্যাকিং সিস্টেম, ব্লুটুথ ট্যাগস এর মতো আধুনিক প্রযুক্তি।
এছাড়াও বর্তমানে পণ্য পরিবহনের জন্য চলে এসেছে অ্যাপ ভিত্তিক সার্ভিস। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই এখন ডিজিটাল এই সার্ভিস বেশ জনপ্রিয়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদনকারী বৃহৎ প্রতিষ্ঠানও অ্যাপ ভিত্তিক পরিবহন সার্ভিস নিতে আগ্রহী। তাই এই ২০২০ সাল সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট ও লজিস্টিকস খাতের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও অত্যাধুনিক ডিভাইস চলতি বছরে এই খাতে বেশ বড় ধরণের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট