fbpx
সর্বশেষ আপডেটস
করোনা ভাইরাস - আতঙ্ক নয় প্রয়োজন সচেতনতা

করোনা ভাইরাস – আতঙ্ক নয় প্রয়োজন সচেতনতা

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯), যত দিন যাচ্ছে ততোই ছড়িয়ে পড়ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান বিপর্যয় বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় প্রতিটি দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি থেকে শুরু করে অতি সাধারণ মানুষ কেউই করোনা ভাইরাসের থেকে বর্তমানে নিরাপদ নয়।

প্রাথমিকভাবে চীনে বিস্তার লাভ করা করোনা ভাইরাস বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ১৭০টি ছড়িয়ে পড়েছে। ইতালি, স্পেন ও ইরানের অবস্থা এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খারাপ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও বেশ তীব্র আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। ২৫ শে মার্চ ২০২০ পর্যন্ত সারা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার লক্ষ। মৃতের সংখ্যা প্রায় বিশ হাজার। 

বাংলাদেশও করোনাভাইরাসের করাল থাবা থেকে বাদ যায়নি। পত্রিকায় পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আমাদের দেশে ৩৯ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে যার মধ্যে ৭ জন সুস্থ হয়েছেন এবং ৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। চলমান এই পরিস্থিতিতে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং নিয়ম মেনে চলতে হবে। আসুন এক নজরে সহজ কিছু বিষয় জেনে নেই- 

  • অফিসে ও বাইরে সকলের সাথে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে
  • করমর্দন, কোলাকুলি না করে মৌখিকভাবে একে অপরকে স্বাগত জানাতে হবে
  • জনবহুল স্থান, সমাবেশ পরিহার করতে হবে
  • যত্রতত্র কফ, কাশি, থুথু ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে
  • আক্রান্ত কোন ব্যক্তি বা আত্মীয়ের সাথে সরাসরি দেখা না করতে যাওয়াই উত্তম
  • অফিস থেকে বাসায় এসে প্রথমেই পরিচ্ছন্ন হয়ে পরিধেয় কাপড় ধুয়ে ফেলতে হবে
  • বাসায় কেউ আসলে তাকে প্রথমেই পরিচ্ছন্ন হতে বলুন
  • হ্যান্ড স্যানিটাইজার আপনার সাথেই রাখুন
  • অপ্রয়োজনে বাসা থেকে বের হবেন না
আতঙ্ক নয়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা

আপনি নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অন্যকেও সচেতন হতে উৎসাহিত করুন। এই ভাইরাস মোকাবেলায় সবাইকে একসাথে সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করতে হবে।

জনসচেতনতায় জিম ডিজিটাল ট্রাক। 

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট 

Check Also

বর্তমান সময়ে নিউ নরমাল শব্দটি আমরা সকলেই শুনেছি। চলতি বছরের শুরুর দিকে যখন পুরো বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, তখন আমাদের জীবনযাত্রায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হয়। আর নিউ নরমাল ব্যাপারটি সেখান থেকেই প্রতিটি সেক্টরে চলে আসে। স্থবির হয়ে থাকা অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এবং একই সাথে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থার মাঝেও প্রান ফিরিয়ে আনতে এই নিউ নরমাল প্রেক্ষাপট খুবই গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে। করোনার মাঝেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড ঘরে বসে কিভাবে করা যায়, তার পদ্ধতি গড়ে তুলেছে, যা চলমান নিউ নরমালের একটি বড় অংশ। এই সময়ে পণ্য পরিবহন করতে গিয়ে একদিকে অনেকেই যেমন হিমশিম খেয়েছে, অন্যদিকে কারো কারো ব্যবসায় এসেছে গতি। আর এই গতি নিশ্চিত করেছে আইওটি নির্ভর কিংবা অ্যাপ ভিত্তিক পণ্য পরিবহন সেবা। করোনা পরিস্থিতির সময় বৃহৎ শিল্প যেমন- ইস্পাত, সিমেন্ট, অবকাঠামো, রিসাইক্লিং এর মতো পণ্য পরিবহনের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো অ্যাপভিত্তিক সেবার উপর অনেকটা নির্ভরশীল হয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে ট্রাক ভাড়া করা একদিকে যেমন সহজ, অন্যদিকে সাশ্রয়ী। এছাড়াও, পণ্যের নিরাপত্তা থাকে এবং পুরো প্রক্রিয়ার মাঝে থাকে স্বচ্ছতা। অ্যাপ ভিত্তিক পণ্য পরিবহন সেবার সবচেয়ে উপকারী দিক হচ্ছে, আপনি মোবাইলে কিংবা ল্যাপটপের মাধ্যমে, ঘরে বসেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছেন। আপনাকে বাইরে যেতে হচ্ছে না। ফলে স্বাস্থ্যগত দিক থেকে নিরাপদ থাকা যাচ্ছে এবং সময়ও বাঁচছে অনেক।

নিউ নরমালে পণ্য পরিবহন নিয়ে কি ভাবছেন?

বর্তমান সময়ে নিউ নরমাল শব্দটি আমরা সকলেই শুনেছি। চলতি বছরের শুরুর দিকে যখন পুরো বিশ্বে …

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।