করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে বিশ্বব্যাপী অনেকেই শঙ্কিত। তাই কভিড ১৯ এর প্রথম ঢেউয়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় প্রস্তুত দেশের বৃহত্তম চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দরে নিয়মিত বিভিন্ন দেশি-বিদেশি জাহাজ ও ইমিগ্রেশন পয়েন্টে নাবিকদের স্ক্রিনিং কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও, চালু রাখা হয়েছে বন্দরের সন্দেহভাজন রোগীদের জন্য নমুনা সংগ্রহ করার বুথ, ২৫ শয্যার আইসোলেশন বিশেষ সেন্টার এবং ২৫ শয্যার করোনা ওয়ার্ড।
চট্টগ্রাম বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোতাহার হোসেন দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, গত ২৩শে নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে আসা জাহাজের ১৫৩ জন দেশি-বিদেশি নাবিকের স্ক্রিনিং আমরা সফলভাবে করেছি যার মধ্যে ৫ জনকে ইমিগ্রেশন পয়েন্টে স্ক্রিনিং করা হয়। তিনি আরও জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বন্দরে আসা প্রায় ৩৭ হাজার ৪৪৯ জন নাবিকের স্ক্রিনিং আমরা সম্পন্ন করেছি। আশার কথা হচ্ছে এর মধ্যে করোনা রোগের লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম বন্দরের আরও একজন কর্মকর্তা দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সমৃদ্ধির স্বর্ণদ্বার আমাদের এই চট্টগ্রাম বন্দর। করোনার প্রথম ধাপে যখন দেশে লকডাউন দেওয়া হয়েছিল, তখনো চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম পুরোদমে চালু ছিল। তাই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় বন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রতিটি বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যাকআপ টিম করা হয়েছে। ফলে একটি টিমে কেউ যদি করোনায় আক্রান্ত হয়, তাহলে বাকিদের আইসোলেশনে রাখা যাবে। এর ফলে বন্দরের অপারেশন সার্বক্ষণিক সচল থাকবে।
ডাটা থেকে জানা যায়, করোনা মহামারী প্রতিরোধে সারা দেশে সরকারি ছুটির ৫৬ দিনে, বন্দরে হ্যান্ডলিং হয়েছিল ৩ লাখ ১৯ হাজার কনটেইনার (টিইইউ’স)। গত ২৬শে মার্চ থেকে শুরু করে ২০মে পর্যন্ত হ্যান্ডলিং হয় ১ কোটি ৩৭ লাখ ২৮ হাজার ৬৪২ মেট্রিকটন পণ্য। পরিসংখ্যান থেকেই বুঝা যাচ্ছে বন্দর কতোটা সক্রিয় ছিল।
দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি চট্টগ্রাম বন্দর। করোনা প্রতিরোধে চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টি ও নিরাপত্তা মেনে চলে চট্টগ্রাম বন্দর সক্রিয় থাকবে এমনটাই আশা করা যাচ্ছে।
তথ্যসূত্রঃ বাংলানিউজ২৪.কম।