fbpx
সর্বশেষ আপডেটস

করোনাভাইরাস উদ্বেগ ও আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন

করোনাভাইরাস নিয়ে দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগের শেষ নেই। যত দিন যাচ্ছে এর বিস্তার বাড়ছে, যা গোটা পৃথিবীকে এক অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। একের পর এক শহর, এলাকা লকডাউন হচ্ছে। কিন্তু এতোকিছুর পরও ঠেকানো যাচ্ছে না করোনাভাইরাসকে। অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে পুরো পৃথিবীজুড়ে। 

এই লকডাউনের মাঝেও জরুরী কিছু সার্ভিস চলছে যেমন, ব্যাংক, হাসপাতাল, পাওয়ার স্টেশন, জরুরী পণ্য পরিবহন ইত্যাদি। তাই আপনি বাসায় থাকলেও আপনার পরিবারের কেউ হয়তো অফিসে যাচ্ছে। আবার অনেকেই বাসায় থেকে কাজ করছেন কিংবা তার চাকরি হারিয়েছেন। তাই সবকিছু মিলিয়ে আমাদের সকলের মনের উপর তৈরি হচ্ছে বাড়তি চাপ। আর এই বাড়তি চাপের ফলে মানসিক স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে। 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, চলমান এই পরিস্থিতিতে কিভাবে আপনি মানসিক চাপ সামলাবেন অথবা মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিবেন? 

সঠিক তথ্য জানুনঃ যেকোন তথ্য অনলাইন কোন পোর্টালে পড়ে দ্বিধা-দ্বন্দে না ভুগে, বিশ্বস্ত কোন সোর্স থেকে নিশ্চিত হয়ে নিন। 

স্বাস্থ্যবিধিতে নিন ডাক্তারের পরামর্শঃ লকডাউনে থাকাকালীন সময়ে যেকোন ধরণের শারীরিক সমস্যায় কিংবা করোনা সম্পর্কিত বিষয়ে কোন ধরণের গুজবে কান না দিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

আস্থাভাজন ব্যক্তিদের সাথে কথা বলুনঃ এই দুঃসময়ে আপনার আস্থাভাজন ব্যক্তিরাই মানসিকভাবে শক্ত থাকতে সহায়তা করবে। তাই নিয়মিত তাদের সাথে কথা বলুন। 

একটি রুটিন বানিয়ে ফেলুনঃ একটি দৈনন্দিন রুটিন বানান যা নিয়মিত মেনে চলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। রুটিনে যা যা রাখতে পারেন- 

  • নিয়মিত সময় মেনে ঘুমানো ও ঘুম থেকে উঠা 
  • যথাসময়য়ে সকালে নাস্তা করা 
  • নিয়মিত ১ঘন্টা পত্রিকা পড়া 
  • স্বাস্থ্যবিধি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছনতা নিয়মিত মেনে চলা 
  • দুপুর ও রাতের খাবার যথাসময়য়ে খাওয়া 
  • নিয়মিত ১০-১৫ মিনিট শরীরচর্চা করা 
  • প্রতিদিন কিছুটা সময় পরিবারের সাথে গল্প করা
  • প্রতিদিন কিছু সময় বই পড়া  
  • নিজের কোন শখ থাকলে সেটা নিয়ে কাজ করা
  • ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা 

এমন একটি দৈনিক রুটিন বানিয়ে ফেললে দেখবেন কাজের মাঝেই দিন পার হয়ে যাচ্ছে।

কাছের মানুষদের খোঁজ রাখুনঃ দেখা করা সম্ভব না বলে মোবাইল ফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে নিয়মিত সবার সাথে যোগাযোগ রাখুন।  

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সচেতনাঃ ফেসবুক কিংবা অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমে বেশিরভাগ সময় শুধুমাত্র করোনাভাইরাস নিয়ে ছবি, ভিডিও কিংবা লিখা প্রকাশ হচ্ছে। এগুলো নিয়ে খুব বেশি সময় ব্যস্ত থাকা যাবে না। এটা মনের উপর প্রচণ্ড চাপ ফেলে। তাই পরিবারের সাথে সময় কাটানো উত্তম। 

মানসিকভাবে শক্ত থাকুনঃ নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখুন। ফলে আপনার পরিবারের লোকজন আপনাকে দেখে মানসিক শক্তি পাবে। 

ইনডোর গেমঃ পরিবারের সদস্যদের সাথে ইনডোর গেম খেলুন, যেমন- লুডু, দাবা, ক্যারম ইত্যাদি।  

সাহায্য-সহযোগিতা করাঃ আপনার আর্থিক সামর্থ্য থাকলে পাড়া-প্রতিবেশীদের সাহায্য করুণ। এতে করে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। 

ব্যাচেলর হলে যা করবেনঃ আপনি ব্যাচেলর হলে করোনাভাইরাসের এই লকডাউনকে কাজে লাগান। অনলাইনে পড়াশোনা করুন, বই পড়ুন, মুভি দেখুন, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন ও পরিবারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। ব্যস্ততার কারণে পছন্দের কোন বই পড়া কিংবা সিরিজ দেখা বাকি থাকলে, তা দেখে ফেলুন। 

সর্বোপরি বিভিন্ন ধরণের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। মনে রাখবেন, আপনার মানসিক স্বাস্থ্য আপনাকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি আজ থেকেই যত্ন নিন। জনসচেতনতায় জিম ডিজিটাল ট্রাক।  

Check Also

বর্তমান সময়ে নিউ নরমাল শব্দটি আমরা সকলেই শুনেছি। চলতি বছরের শুরুর দিকে যখন পুরো বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, তখন আমাদের জীবনযাত্রায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হয়। আর নিউ নরমাল ব্যাপারটি সেখান থেকেই প্রতিটি সেক্টরে চলে আসে। স্থবির হয়ে থাকা অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এবং একই সাথে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থার মাঝেও প্রান ফিরিয়ে আনতে এই নিউ নরমাল প্রেক্ষাপট খুবই গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে। করোনার মাঝেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড ঘরে বসে কিভাবে করা যায়, তার পদ্ধতি গড়ে তুলেছে, যা চলমান নিউ নরমালের একটি বড় অংশ। এই সময়ে পণ্য পরিবহন করতে গিয়ে একদিকে অনেকেই যেমন হিমশিম খেয়েছে, অন্যদিকে কারো কারো ব্যবসায় এসেছে গতি। আর এই গতি নিশ্চিত করেছে আইওটি নির্ভর কিংবা অ্যাপ ভিত্তিক পণ্য পরিবহন সেবা। করোনা পরিস্থিতির সময় বৃহৎ শিল্প যেমন- ইস্পাত, সিমেন্ট, অবকাঠামো, রিসাইক্লিং এর মতো পণ্য পরিবহনের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো অ্যাপভিত্তিক সেবার উপর অনেকটা নির্ভরশীল হয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে ট্রাক ভাড়া করা একদিকে যেমন সহজ, অন্যদিকে সাশ্রয়ী। এছাড়াও, পণ্যের নিরাপত্তা থাকে এবং পুরো প্রক্রিয়ার মাঝে থাকে স্বচ্ছতা। অ্যাপ ভিত্তিক পণ্য পরিবহন সেবার সবচেয়ে উপকারী দিক হচ্ছে, আপনি মোবাইলে কিংবা ল্যাপটপের মাধ্যমে, ঘরে বসেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছেন। আপনাকে বাইরে যেতে হচ্ছে না। ফলে স্বাস্থ্যগত দিক থেকে নিরাপদ থাকা যাচ্ছে এবং সময়ও বাঁচছে অনেক।

নিউ নরমালে পণ্য পরিবহন নিয়ে কি ভাবছেন?

বর্তমান সময়ে নিউ নরমাল শব্দটি আমরা সকলেই শুনেছি। চলতি বছরের শুরুর দিকে যখন পুরো বিশ্বে …

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।