fbpx
সর্বশেষ আপডেটস
দাম দিয়েছি কিনেছি বাংলা

দাম দিয়েছি কিনেছি বাংলা

লক্ষ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা আমরা কোন আপোষে পাইনি। পাইনি কারও দয়ায়। স্বাধীনতার লাল সূর্যটাকে ছিনিয়ে নিতে আমাদের পাড়ি দিতে হয়েছে এক দীর্ঘ রক্তস্নাত পথ। গভীর আত্মত্যাগ, সাহস ও বীরত্বের এক অভূতপূর্ব ইতিহাস রচিত হয়েছিল ১৯৭১ সালে। 

বাঙালির এই জন্মযুদ্ধে আমরা হারিয়েছি দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসীম  সাহসিকতা প্রদর্শন এবং আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হয় বিভিন্ন মর্যাদা ও খেতাব। 

আসুন জেনে নেই এই খেতাবগুলোর বিস্তারিতঃ 

বীরশ্রেষ্ঠঃ স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বের জন্য প্রদত্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক পদক বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব। যুদ্ধক্ষেত্রে অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগের নিদর্শন স্থাপনকারী ৭ জন যোদ্ধাকে ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পদক দেয়া হয়।

বীর উত্তমঃ বীর উত্তম খেতাবের দিক দিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বীরত্বের পুরস্কার। স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহসিকতার সাথে যুদ্ধের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পদক দেয়া হয়। ৬৮ জন পায় এই বীর উত্তম খেতাব। 

বীর বিক্রমঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানকারী ১৭৫ জন মুক্তিযোদ্ধাদেরকে তাদের বিশেষ অবদানের ভিত্তিতে এই খেতাব দেওয়া হয়। তৃতীয় সর্বোচ্চ বীরত্বের পুরস্কার এটি। 

বীর প্রতীকঃ স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বের জন্য প্রদত্ত বাংলাদেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ উপাধি বীর প্রতীক। মোট ৪২৬ জনকে এই উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

বীরাঙ্গনাঃ মুক্তিযুদ্ধে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের হাতে নির্যাতিত নারীদের বীরাঙ্গনা উপাধি দেওয়া হয়। ২ থেকে ৪ লক্ষ নারী পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগীদের দ্বারা নির্যাতিত হয়। 

এছাড়াও রয়েছেন নাম না জানা ৩০ লক্ষেরও বেশি শহীদ। ১৯৭১ সালের বর্বর পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা রচনা করে পৃথিবীর জঘন্যতম গণহত্যার ইতিহাস। পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাঙালিকে জাতিকে শত বছর পিছিয়ে দিতে তারা হত্যা করে এই দেশের সূর্যসন্তান বুদ্ধিজীবীদের। 

অনেক ত্যাগ ও রক্তের দামে কেনা এই স্বাধীনতার মূল্য রাখতে উত্তরপ্রজন্ম হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে আমাদেরই। সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। 

Check Also

বর্তমান সময়ে নিউ নরমাল শব্দটি আমরা সকলেই শুনেছি। চলতি বছরের শুরুর দিকে যখন পুরো বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, তখন আমাদের জীবনযাত্রায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হয়। আর নিউ নরমাল ব্যাপারটি সেখান থেকেই প্রতিটি সেক্টরে চলে আসে। স্থবির হয়ে থাকা অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এবং একই সাথে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থার মাঝেও প্রান ফিরিয়ে আনতে এই নিউ নরমাল প্রেক্ষাপট খুবই গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে। করোনার মাঝেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড ঘরে বসে কিভাবে করা যায়, তার পদ্ধতি গড়ে তুলেছে, যা চলমান নিউ নরমালের একটি বড় অংশ। এই সময়ে পণ্য পরিবহন করতে গিয়ে একদিকে অনেকেই যেমন হিমশিম খেয়েছে, অন্যদিকে কারো কারো ব্যবসায় এসেছে গতি। আর এই গতি নিশ্চিত করেছে আইওটি নির্ভর কিংবা অ্যাপ ভিত্তিক পণ্য পরিবহন সেবা। করোনা পরিস্থিতির সময় বৃহৎ শিল্প যেমন- ইস্পাত, সিমেন্ট, অবকাঠামো, রিসাইক্লিং এর মতো পণ্য পরিবহনের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো অ্যাপভিত্তিক সেবার উপর অনেকটা নির্ভরশীল হয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে ট্রাক ভাড়া করা একদিকে যেমন সহজ, অন্যদিকে সাশ্রয়ী। এছাড়াও, পণ্যের নিরাপত্তা থাকে এবং পুরো প্রক্রিয়ার মাঝে থাকে স্বচ্ছতা। অ্যাপ ভিত্তিক পণ্য পরিবহন সেবার সবচেয়ে উপকারী দিক হচ্ছে, আপনি মোবাইলে কিংবা ল্যাপটপের মাধ্যমে, ঘরে বসেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছেন। আপনাকে বাইরে যেতে হচ্ছে না। ফলে স্বাস্থ্যগত দিক থেকে নিরাপদ থাকা যাচ্ছে এবং সময়ও বাঁচছে অনেক।

নিউ নরমালে পণ্য পরিবহন নিয়ে কি ভাবছেন?

বর্তমান সময়ে নিউ নরমাল শব্দটি আমরা সকলেই শুনেছি। চলতি বছরের শুরুর দিকে যখন পুরো বিশ্বে …

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।