fbpx
সর্বশেষ আপডেটস

পণ্য সরবরাহে বাংলাদেশ: সমুদ্র বন্দর থেকে স্থল পরিবহন

গেল বছরে ৩১ লাখ কন্টেইনার পরিবহনের রেকর্ড গড়েছে দেশের বৃহত্তম চট্টগ্রাম বন্দর। এছাড়াও, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোংলা বন্দর দিয়ে প্রতিবছর গড়ে ৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন পণ্যের আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। আমাদের দেশের পণ্য পরিবহনের সাথে সমুদ্র বন্দরগুলো বেশ সক্রিয়ভাবে জড়িত কারণ, পণ্য আমদানি ও রপ্তানির বেশ বড় একটা অংশের কাজ হয়ে থাকে বন্দরগুলোকে ঘিরেই। 

বাংলাদেশে সক্রিয় দুটি বন্দর ছাড়াও আছে, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর যা ২০১৬ সালে চালু হলেও পুরোপরিভাবে সক্রিয় হবে ২০২২ সালের দিকে, এমনটাই আশা করা যাচ্ছে। এছাড়াও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর ও মিরসরাই ইকোনমিক জোন সংলগ্ন প্রথম বেসরকারি সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ চলছে।  

বন্দরগুলোতে পণ্য খালাসের পর থেকেই শুরু হয় ট্রাকে পণ্য পরিবহনের যাত্রা। সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত হয় ট্রাকে করে আবার বন্দরে পণ্য আসেও ট্রাকের মাধ্যমেই। 

মূলত বড় ট্রাকে করে বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন করা হয়ে থাকে। ট্রেইলার ট্রাক, বড় খোলা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানে করেই বেশিরভাগ পণ্য বন্দর থেকে সার দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এজন্য সমুদ্র বন্দরকে ঘিরে ট্রাক পরিবহন ব্যবস্থার সাথে জড়িত মানুষজনের ব্যস্ততা থাকে প্রায় ২৪ ঘন্টাই।  

সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনের মূল বাহনই হচ্ছে ট্রাক। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের সকলেই পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রাকের উপর নির্ভরশীল। যদিও, ট্রাক ভাড়া করার জন্য অনেকে বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করেন। অনেকেই পরিচিত ট্রাক মালিকদের কাছ থেকে ট্রাক ভাড়া নিয়ে থাকেন। তবে, অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো বিগত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং গ্রাহকের সংখ্যাও বেড়েছে। কারণ, স্বচ্ছ ও নিরবিচ্ছিন্ন ট্রাক ভাড়ার সার্ভিস পেতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মই সেরা সমাধান। 

জিম ডিজিটাল ট্রাক, বাংলাদেশে বর্তমানে তেমনই একটি জনপ্রিয় ট্রাক ভাড়ার অনলাইন  প্ল্যাটফর্ম। জিমের প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রাক ভাড়া করা যাবে সারাদেশে এবং ট্রাক মালিক গাড়ি ভাড়া দিতে পারবেন সারাদেশে। জিম ২০১৮ সাল থেকে দেশের পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা ডিজিটাল করতে কাজ করে যাচ্ছে নিরবিচ্ছিন্নভাবে। 

জিমের সার্ভিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন জিমের ওয়েবসাইট ও পণ্য পরিবহন সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কমেন্ট সেকশনে। 

তথ্যসূত্রঃ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম 

Check Also

বর্তমান সময়ে নিউ নরমাল শব্দটি আমরা সকলেই শুনেছি। চলতি বছরের শুরুর দিকে যখন পুরো বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, তখন আমাদের জীবনযাত্রায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হয়। আর নিউ নরমাল ব্যাপারটি সেখান থেকেই প্রতিটি সেক্টরে চলে আসে। স্থবির হয়ে থাকা অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এবং একই সাথে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থার মাঝেও প্রান ফিরিয়ে আনতে এই নিউ নরমাল প্রেক্ষাপট খুবই গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে। করোনার মাঝেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড ঘরে বসে কিভাবে করা যায়, তার পদ্ধতি গড়ে তুলেছে, যা চলমান নিউ নরমালের একটি বড় অংশ। এই সময়ে পণ্য পরিবহন করতে গিয়ে একদিকে অনেকেই যেমন হিমশিম খেয়েছে, অন্যদিকে কারো কারো ব্যবসায় এসেছে গতি। আর এই গতি নিশ্চিত করেছে আইওটি নির্ভর কিংবা অ্যাপ ভিত্তিক পণ্য পরিবহন সেবা। করোনা পরিস্থিতির সময় বৃহৎ শিল্প যেমন- ইস্পাত, সিমেন্ট, অবকাঠামো, রিসাইক্লিং এর মতো পণ্য পরিবহনের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো অ্যাপভিত্তিক সেবার উপর অনেকটা নির্ভরশীল হয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে ট্রাক ভাড়া করা একদিকে যেমন সহজ, অন্যদিকে সাশ্রয়ী। এছাড়াও, পণ্যের নিরাপত্তা থাকে এবং পুরো প্রক্রিয়ার মাঝে থাকে স্বচ্ছতা। অ্যাপ ভিত্তিক পণ্য পরিবহন সেবার সবচেয়ে উপকারী দিক হচ্ছে, আপনি মোবাইলে কিংবা ল্যাপটপের মাধ্যমে, ঘরে বসেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছেন। আপনাকে বাইরে যেতে হচ্ছে না। ফলে স্বাস্থ্যগত দিক থেকে নিরাপদ থাকা যাচ্ছে এবং সময়ও বাঁচছে অনেক।

নিউ নরমালে পণ্য পরিবহন নিয়ে কি ভাবছেন?

বর্তমান সময়ে নিউ নরমাল শব্দটি আমরা সকলেই শুনেছি। চলতি বছরের শুরুর দিকে যখন পুরো বিশ্বে …

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।