সকল ঈদেই চট্টগ্রাম সহ অন্যান্য পোর্টে দেখা যায় একই চিত্র!
প্রতি ঈদে আমদানি করা পণ্য নিয়ে অনেক কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে জমা পড়ে। মূলত ঈদের ছুটির পর কারখানার কার্যক্রম এবং যানবাহন চলাচলের ধীর গতির কারণে বন্দরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনা।
কন্টেইনারের ভিড় আরো বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যেহেতু আমদানিকৃত পণ্য বহনকারী একটি ভালো সংখ্যক জাহাজ ঈদের সময় থেকে বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকার কাছে কন্টেইনার খালাস করার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
বন্দর থেকে আমদানিকৃত কন্টেইনারের ডেলিভারি এবং বেসরকারি অফ-ডকে আমদানিকৃত কন্টেইনারের পরিবহন ঈদের আগের দিন থেকেই কমে যায়।
বর্তমানে জাহাজগুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩,০০০ থেকে ৪,০০০ টিইইউ (বিশ ফুট সমতুল্য ইউনিট) জেটিতে নামে, যেখানে মাত্র ১,০০০ থেকে ১,২০০ টিইইউ সরবরাহ করা হচ্ছে।
যদি পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি না হয় তবে জাহাজ থেকে কন্টেইনার নামানোর গতি কমে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সবসময় আমদানিকৃত প্রায় ২৫,০০০ এরও বেশি টিইইউ কন্টেইনার বন্দরে স্টক থাকে এবং ঈদের সময় তা ৪১,০০০ এরও বেশি ছাড়িয়ে যায়।
চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তাদের মতে, ঈদের দিন সব ধরণের বন্দর কার্যক্রম বন্ধ থাকে এবং এইদিন কোনও ধরনের পরিবহন হয় না। সাধারণ কাজের দিন প্রায় ৪,০০০ টিইইউ হস্তান্তরিত হয় যার তুলনায় ঈদের আগের দিন থেকে ঈদের পরের সপ্তাহ পর্যন্ত কন্টেইনার পরিবহন ৩৫০ টিইইউ এরও নিচে নেমে আসে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, প্রতি ঈদের ছুটিতে আমদানি কন্টেনারের সংখ্যা বেড়ে যায়। আমদানিকারকরা পুরোদমে ডেলিভারি নেওয়া শুরু করলে চাপ ধীরে ধীরে কমে।
বিএফএফএ’র (বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশন) পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, দীর্ঘ ঈদের ছুটি থাকার কারণে কন্টেনারের বিতরণ ঈদের পর পুরো দমে শুরু হয় না।
তাছাড়া সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় পরিবহন খুঁজে পায় না বলে ডেলিভারি নিতে ব্যর্থ হন বলে জানান তিনি।
সুজন আরো বলেন, সপ্তাহের শেষে কন্টেইনার জড়তার পরিমান আরও খারাপ হয়ে যায়, যেহেতু বাংলাদেশের কাছাকাছি সমুদ্রে অপেক্ষা করতে থাকে আরও অনেক আমদানিকৃত কন্টেইনার বোঝাই জাহাজ।
সূত্র: https://www.thedailystar.net