fbpx
সর্বশেষ আপডেটস

করোনাভাইরাস-বাসা থেকে বের হলে আমাদের করণীয়

বিশ্বজুড়ে লকডাউনের কারণে প্রাণচঞ্চল শহরগুলোতে এখন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। অনেকটা যেন স্থবির হয়ে পড়েছে চারপাশ। তবে এর মাঝেও অনেককেই বাসা থেকে বের হতে হচ্ছে। কারণ, হাসপাতাল, পাওয়ার স্টেশন, কাঁচাবাজার, ঔষধের দোকান, ব্যাংক ও জরুরী পণ্য সরবরাহের কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা। খেটেখাওয়া কর্মজীবী মানুষেরাও প্রতিদিন বের হচ্ছে দুমুঠো ভাতের সন্ধানে। 

ক্রমশই ভয়ংকর হয়ে উঠছে এই নোভেল করোনাভাইরাস। তাই সংকটময় এই জরুরী অবস্থায় যদি আপনাকে বাসা থেকে বের হতে হয়, তাহলে কিছু নিয়ম মেনে চলা খুব জরুরী। আসুন এক নজরে নিয়মগুলো আমরা দেখে নেই- 

  • বাসা থেকে বের হওয়ার আগে মাস্ক পরে নিন। 
  • সম্ভব হলে হ্যান্ড গ্লাভসও পরে নিন। 
  • গনপরিবহনে যাতায়াত করলে, পকেট কিংবা ব্যাগে স্যানিটাইজার রাখুন। 
  • বাস, লেগুনা কিংবা আটোরিকশায় উঠলে, পাশের যাত্রী থেকে নিরাপদ দূরত্ব রেখে বসতে চেষ্টা করুন।
  • যদি হ্যান্ড গ্লাভস না থাকে সেক্ষেত্রে গনপরিবহনে থেকে নেমে হাত স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করুন। মনে রাখবেন, স্যানিটাইজার ব্যবহার করে হাতে হাত ঘষে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে।  
  • আর হ্যান্ড গ্লাভস পরলে, গনপরিবহন থেকে নেমে স্যানিটাইজার দিয়ে গ্লাভস পরিষ্কার করে নিন। 
  • এক প্যাকেট টিস্যু সাথে রাখুন। 
  • হাঁচি ও কাশির সময় টিস্যু ব্যবহার করুন এবং ব্যবহৃত টিস্যু অবশ্যই ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলুন।
  • কর্মক্ষেত্রে গিয়ে হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক খুলে আলাদা স্থানে রাখুন। আপনার সাথে ছোট দুটো পলিথিন কিংবা কাগজের ব্যাগ রাখুন, যেখানে এগুলো আলাদা করা রাখা সম্ভব। 
  • বাজারে গেলে সকলের সাথে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।  
  • বাহিরে থাকা অবস্থায় চেষ্টা করুন, যতটা সম্ভব যেকোন কিছু স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে।  
  • ফেরার পথেও যদি গনপরিবহন ব্যবহার করতে হয়, গাড়ি থেকে নেমে বাসায় ঢোকার পূর্বে স্যানিটাইজার দিয়ে অবশ্যই হাত/গ্লাভস পরিষ্কার করে নিবেন। 

করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্তের তালিকায় কোন দেশ নেই, তা খুঁজতে আপনাকে এখন রীতিমতো গলদঘর্ম হতে হবে। তাই মনে রাখবেন, সচেতনতাই পারে আপনাকে ও আপনার পরিবারকে নিরাপদ রাখতে। 

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

Check Also

বর্তমান সময়ে নিউ নরমাল শব্দটি আমরা সকলেই শুনেছি। চলতি বছরের শুরুর দিকে যখন পুরো বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, তখন আমাদের জীবনযাত্রায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হয়। আর নিউ নরমাল ব্যাপারটি সেখান থেকেই প্রতিটি সেক্টরে চলে আসে। স্থবির হয়ে থাকা অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এবং একই সাথে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থার মাঝেও প্রান ফিরিয়ে আনতে এই নিউ নরমাল প্রেক্ষাপট খুবই গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে। করোনার মাঝেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড ঘরে বসে কিভাবে করা যায়, তার পদ্ধতি গড়ে তুলেছে, যা চলমান নিউ নরমালের একটি বড় অংশ। এই সময়ে পণ্য পরিবহন করতে গিয়ে একদিকে অনেকেই যেমন হিমশিম খেয়েছে, অন্যদিকে কারো কারো ব্যবসায় এসেছে গতি। আর এই গতি নিশ্চিত করেছে আইওটি নির্ভর কিংবা অ্যাপ ভিত্তিক পণ্য পরিবহন সেবা। করোনা পরিস্থিতির সময় বৃহৎ শিল্প যেমন- ইস্পাত, সিমেন্ট, অবকাঠামো, রিসাইক্লিং এর মতো পণ্য পরিবহনের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো অ্যাপভিত্তিক সেবার উপর অনেকটা নির্ভরশীল হয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে ট্রাক ভাড়া করা একদিকে যেমন সহজ, অন্যদিকে সাশ্রয়ী। এছাড়াও, পণ্যের নিরাপত্তা থাকে এবং পুরো প্রক্রিয়ার মাঝে থাকে স্বচ্ছতা। অ্যাপ ভিত্তিক পণ্য পরিবহন সেবার সবচেয়ে উপকারী দিক হচ্ছে, আপনি মোবাইলে কিংবা ল্যাপটপের মাধ্যমে, ঘরে বসেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছেন। আপনাকে বাইরে যেতে হচ্ছে না। ফলে স্বাস্থ্যগত দিক থেকে নিরাপদ থাকা যাচ্ছে এবং সময়ও বাঁচছে অনেক।

নিউ নরমালে পণ্য পরিবহন নিয়ে কি ভাবছেন?

বর্তমান সময়ে নিউ নরমাল শব্দটি আমরা সকলেই শুনেছি। চলতি বছরের শুরুর দিকে যখন পুরো বিশ্বে …

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।