মেয়রের আশ্বাসে ১২ ঘণ্টা জনদুর্ভোগের পর চট্টগ্রামে ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। চট্টগ্রামে রবিবার বিকেলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে পরিবহন সংগঠনগুলো।
রবিবার বিকেলে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছিরের উদ্যোগে পরিবহন সংগঠন, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সাথে ধর্মঘট নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন বলে জানান ধর্মঘট আহ্বানকারী পরিবহন সংগঠনের নেতারা ও আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী।
মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, আমাদের দাবিগুলো পূরণে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তিনি মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। তাই তার আশ্বাসে আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’
নয় দফা দাবিতে গতকাল চট্টগ্রামে গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদ সকাল থেকে এই ধর্মঘটের ডাক দেয়। ফলে চট্টগ্রামের সঙ্গে অন্তত ১২ জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো।
তাদের ৯ দফা দাবিগুলো হলো-
- গণ ও পণ্য পরিবহনের কাগজপত্র হালনাগাদ করার জন্য জরিমানা মওকুফ করতে হবে
- জরিমানা মওকুফের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কাগজপত্র যাচাই ও বাছাইয়ের নামে কোন ধরণের হয়রানি করা যাবে না
- বিআরটিএ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ভোক্তা অধিকার আইন প্রয়োগ করে গণ ও পণ্য পরিবহনে কোনও অতিরিক্ত জরিমানা আদায় করা যাবে না
- থানা পুলিশ ও হাইওয়ে কর্তৃক গাড়ি জব্দ ও রিকুইজিশন বন্ধ করতে হবে
- চট্টগ্রাম মেট্টো এলাকায় গাড়ির ইকোনোমিক লাইফের অজুহাত দেখিয়ে ফিটনেস ও পারমিট নবায়ন বন্ধ রাখা যাবে না
- ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক যান্ত্রিক ক্রুটিযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোন ধরণের অজুহাত দেখিয়ে গণ ও পণ্য পরিবহন ডাম্পিং না করা
- ড্রাইভার কর্তৃক চালিত গাড়ির রেকার ভাড়া আদায় না করা
- সহজ শর্তে গাড়ির চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা
- কাগজপত্র হালনাগাদের ক্ষেত্রে বিআরটিএর কার্যক্রমে সব ধরণের ভোগান্তি বন্ধ করা
ধর্মঘটের কারণে রবিবার সড়কে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছিল। ফলে সাধারণ জনগণকে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিলো। ধর্মঘট তুলে নেওয়ার পর রাস্তায় গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
তথ্যসুত্রঃ বিডিনিউজ২৪.কম ও বাংলানিউজ২৪.কম