fbpx
সর্বশেষ আপডেটস

চট্টগ্রাম বন্দরে জট নেই, বেড়েছে সেবার মান

বদলে গেছে চট্টগ্রাম বন্দরের চিত্র। আগে বহির্নোঙরে জাহাজ আসার পরও চার-পাঁচ দিনে পণ্য হাতের নাগালে পাওয়া যেত না। আর এখন জেটি থাকছে খালি, আর জাহাজ আসামাত্রই ভিড়ে যাচ্ছে পণ্য খালাসের জন্য।

গত সাড়ে পাঁচ বছরের মধ্যে এখন সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে পণ্য হাতে পাচ্ছেন আমাদের আমদানিকারকরা। এতে করে কারখানায় দ্রুত কাঁচামাল পৌঁছে যাচ্ছে এবং পণ্য বাজারজাতও হচ্ছে দ্রুত। বর্তমানে ব্যবসায়ের স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি বা কনটেইনারে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কিছুটা কমে যাওয়ায় নিজেদের সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে সেবা দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। এতে করে গত চার মাসে বন্দরের সেবার মান ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

বন্দরে সেবার মান বাড়লে দেশের উৎপাদনমুখী সব শিল্প-কারখানা এর সুফল পায়। কারণ, সিমেন্ট ও ইস্পাত ছাড়া কমবেশি সব ধরনের শিল্প-কারখানার কাঁচামাল আমদানি হয় কনটেইনারে। রপ্তানি পণ্যেরও পুরোটাই দেশের বাইরে যায় কনটেইনারে করেই। তাই বন্দরে সেবার মান যত উন্নত হবে, পণ্য পরিবহনের গতি তত বাড়বে।  

এছাড়াও, কনটেইনারে করে পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে শীর্ষে আছে পোশাকশিল্প খাত। ক্রেতাদের অর্ডার পাওয়ার পর দ্রুত পোশাক রপ্তানি করা যাবে কি না, তা অনেকাংশে নির্ভর করে বন্দরের সেবার মানের উপর, যা চট্টগ্রাম বন্দরে দিন দিন উন্নত হচ্ছে। 

বন্দরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় আসার পর থেকে জেটিতে ভেড়ানো পর্যন্ত প্রতিটি জাহাজের জন্য সময় লেগেছে প্রায় ১৮ ঘণ্টা। বন্দরে মূলত জোয়ারের সময় জাহাজ ভেড়ানো হয়। তাতে ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা স্বাভাবিক সময় হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। অথচ গত বছর সেপ্টেম্বরে এই কাজটি করতে প্রতিটি জাহাজের জন্য অপেক্ষমাণ সময় ছিল প্রায় পাঁচ দিন ছয় ঘণ্টা।

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (আঙ্কটাড) দেওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, একটি বন্দরের জলসীমায় জাহাজ আসার পর থেকে তা জেটিতে ভেড়ানো পর্যন্ত সময়কে ‘অপেক্ষমাণ সময়’ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। 

দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি পত্রিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, “শুধু পণ্য আমদানির চাপ কমেছে বলে নয়, বন্দরে কাজের দক্ষতাও অনেক বেড়েছে। মহামারির পুরো সময়ে সেবার মানের উন্নতি ধরে রাখতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফলে আসছে দিনগুলোতে আমদানির চাপ বাড়লেও কোন সমস্যা হবে না। কারণ, আগামী বছর জুনে বন্দরের বহরে যুক্ত হবে পতেঙ্গা টার্মিনাল। ফলে ব্যবসায়ীরা এখনকার মতোই সুবিধা পাবেন।” 

গত বছর বন্দর দিয়ে যত ধরণের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়েছে, তার প্রায় ২৮ শতাংশই কনটেইনারে আনা-নেওয়া হয়েছে। তাই দেশের বৃহত্তম এই বন্দরের সেবার মান যত বাড়বে, দেশের অর্থনীতির চাকাও তত দ্রুত ঘুরবে।  

তথ্যসূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো ও ইন্টারনেট। 

Check Also

২০২৬ সাল নাগাদ জাহাজ ভিড়ানোর আশা নিয়ে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজ শুরু

কক্সবাজারের মহেশখালীতে অবস্থিত “মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর” এর উন্নয়ন প্রকল্পের বিস্তারিত নকশা তৈরির কার্যক্রম গত সোমবার, …

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।