স্টোরিজ

জিমের দ্রুত সার্ভিসে মনির সাহেব দারুণ খুশি!

By Admin

November 07, 2019

সংকোচ ঝেড়ে ফেলে মনির সাহেব ঠিক করলেন ব্যাপারটা বলেই ফেলবেন। কারো সাহায্য না নিলে এই সমস্যার সমাধান করা তার পক্ষে সম্ভব না। 

“হাসান ভাই, ট্রাক ভাড়া কই পাবো?” 

হাসান সাহেব পাশের ডেস্কেই বসেন। ঘাড় না ঘুরিয়েই বলেন, “গুলশানের এই দিকে ট্রাক স্ট্যান্ড যে কোথায় তা আমি জানি না। তবে আপনি নিচে চায়ের দোকানের হাবিবের সাথে কথা বলতে পারেন।” 

মনির সাহেব কিঞ্চিত হতাশ হয়েই চায়ের দোকানে যান। গত দু’দিন পরিচিত বেশ কয়েক জায়গায় ফোন দিয়েও ট্রাক পান নি। হাবিবের দোকানে চা খেতে খেতে বিস্তারিত কথা হয়। হাবিব তাকে একটি ফোন নম্বর দেয় এবং এক ঘন্টার মাঝে ট্রাক পাওয়ার আশ্বাস দেয়। 

মনির সাহেব সেই নম্বরে ফোন দিয়েই বুঝতে পারেন এটা একজন মধ্যসত্ত্ব ভোগীর নম্বর বা এক কথায় বলতে গেলে দালাল। এক ঘন্টায় ট্রাক পাওয়া তো দূরের কথা, পরদিন দুপুরে সেই দালাল ফোন করে জানায় পিকআপ পাওয়া গেছে, তবে টাকা একটু বেশি লাগবে। বাজার মূল্যের চেয়ে রীতিমত তিনগুণ বেশি টাকা চায় সে। নতুন বাজার থেকে উত্তরা ছোট ট্রিপ, তাই নাকি পোষাবে না।    

মনির সাহেব বিরক্ত হয়ে না করে দেন। যদি নাই পোষাবে তাহলে আবার ভাড়া দিতে চায় কেন! 

সন্ধ্যায় অফিস শেষে তিনি ফেরার পথে ফেসবুকে জিম ডিজিটাল ট্রাকের ভিডিও দেখতে পান। অনলাইনে ট্রাক ভাড়া পাওয়া যায় এটা তার ধারণা ছিল না। তিনি জিম অ্যাপ ডাউনলোড করে পিকআপ চেয়ে একটা ট্রিপ তৈরি করেন। তাকে অবাক করে দিয়ে রাতের মধ্যেই ফোন চলে আসে। পিকআপ আছে, নতুন বাজার থেকে উত্তরা যাবে তাও মাত্র এক হাজার টাকায়! 

তিনি পরদিন অফিস থেকে ছুটি নেন। নতুন বাজার থেকে তার কিছু পণ্য লোড হয় আর একটি টেবিল যাওয়ার পথে ফার্নিচারের দোকান থেকে নিয়ে নেন। দু’জায়গা থেকে পণ্য লোড হলেও ড্রাইভার মোটেও বিরক্ত হয় না। সে যথাসময়ে পণ্য নামিয়ে চলে যায়। কোন ঝামেলা ছাড়াই অনলাইনে ট্রাক ভাড়া পাওয়ার এমন চমৎকার সার্ভিস পেয়ে মনির সাহেব খুবই খুশি। 

তিনি পরদিন অফিসে যেয়ে তার এই চমৎকার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। মাত্র এক হাজার টাকায় ঘরে বসেই পিকআপ পাওয়া, ভাবাই যায় না!