আপডেটস

জিম ডিজিটাল ট্রাক ও রানার গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

By Admin

October 10, 2019

বাংলাদশের পরিবহন খাতকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করে তুলতে এসেছে জিম ডিজিটাল ট্রাক। হাতের কাছে ট্রাক পেতে জিম তৈরি করছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্কে নিয়মিত যোগ হচ্ছে কাস্টমার, ট্রাক মালিক ও ড্রাইভার। সম্প্রতি জিম ডিজিটাল ট্রাকের সাথে যুক্ত হলো দেশের অন্যতম অটোমোবাইল কোম্পানি রানার গ্রুপ। রানার গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে এই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। 

রানার গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (ফ্যাক্টরি) হেমন্ত কুমার, উপ মহাব্যবস্থাপক (অ্যাডমিন) ক্যাপ্টেন তৌহিদুর রহমান এবং ই-যোগাযোগ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (সেলস) মারুফ মিজান এই সমঝোতা চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির মাধ্যমে রানার গ্রুপকে পরিবহন সংক্রান্ত বিবিধ আধুনিক প্রযুক্তিগত সুবিধাদি দিবে জিম ডিজিটাল ট্রাক। 

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রানার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান কার্যনির্বাহী রিয়াজুল চৌধুরী, ই-যোগাযোগ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমগীর আলভী, ডিরেক্টর আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ। 

রানার গ্রুপ ও জিম ডিজিটাল ট্রাকের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

প্রসঙ্গত, “পণ্য পরিবহনে প্রযুক্তি” এই স্লোগান নিয়ে বাজারে আসার পরপরই বিশ্বমানের সেবা ও নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিত করে জিম-ডিজিটাল ট্রাক অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। বর্তমানে বায়ান্ন হাজার টনেরও বেশি ধারণক্ষমতা নিয়ে সারা বাংলাদেশে জিমের রেজিস্টারকৃত প্রায় আট হাজার ট্রাক রয়েছে।

জিম অ্যাপ ব্যবহার করা খুব সহজ। একজন কাস্টমার জিমে ট্রিপ তৈরি করা মাত্রই বিভিন্ন ট্রাক মালিক কিংবা চালক সেই ট্রিপটির জন্য বিড করেন। কাস্টমার পছন্দের বিড সিলেক্ট করলেই ট্রাক চলে আসবে তার দোরগোড়ায়। কাস্টমার চাইলে তার কতজন লেবার লাগবে তাও উল্লেখ করে দিতে পারেন। এছাড়াও, পণ্য যদি একের অধিক স্থানে আনলোড করতে হয় সেটাও সম্ভব। অন্যদিকে ট্রাক মালিক সারা বাংলাদেশেের যেকোন স্থানে থেকেই ট্রিপে বিড করতে পারেন। ফলে দূরদূরান্তরে পণ্য ডেলিভারি করে ট্রাক খালি ফেরত আসার হার কমে গেছে। ট্রাক দেশের যেখানেই যাচ্ছে, ফিরছে ট্রিপ নিয়েই।  

বাংলাদেশে প্রচলিত সব ধরণের ট্রাকই পাওয়া যাবে জিম অ্যাপে। বিভিন্ন ধারণক্ষমতার এই ট্রাকগুলো প্রতিনিয়ত পণ্য নিয়ে ছুটে চলেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। জিমের সকল কাস্টমার এবং ট্রাক মালিক/চালক ভেরিফাইড হওয়ার কারণে পণ্য পরিবহন নিয়ে উভয় পক্ষই থাকেন নিশ্চিন্ত। জাতীর পরিচয়পত্রের তথ্য ছাড়া জিমে রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ নেই। ফলে সবকিছু থাকছে স্বচ্ছ। আর স্বচ্ছতাই নিশ্চিত করে নিরাপত্তা। 

পণ্য পরিবহনে প্রযুক্তি, এই স্লোগান নিয়ে দেশের পরিবহন সেক্টর পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে জিম ডিজিটাল ট্রাক। ট্রাক ভাড়ার ডিজিটাল এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে রানার গ্রুপ পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে এবং আরও দ্রুত ও কার্যকরী উপায়ে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।