বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে আঞ্চলিক দেশ সমূহের সঙ্গে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোংলা সমুদ্র বন্দরের গতি বাড়াতে বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
গতকাল শনিবার দুপুরে বঙ্গোপসাগরে মোংলা বন্দর চ্যানেল আউটারবারে ড্রেজিং কার্যক্রমের অগ্রগতি পরিদর্শনের সময় তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, একটা সময়ে মৃতপ্রায় এই বন্দর এখন শুধু গতিশীল নয়, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর। বর্তমানে এ বন্দরকে ঘিরে বিভিন্ন ধরণের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে। চলমান এ-গতি ধরে রাখতেই প্রথমবারের মতো আউটারবার ড্রেজিং কার্যক্রম চলছে যা বন্দরের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে।
মোংলা বন্দরের ইতিহাসে এটিই আউটারবারের প্রথম ড্রেজিং কার্যক্রম। চলমান এই আউটারবার ড্রেজিং প্রকল্প সম্পন্ন হলে বড় বড় বিদেশি জাহাজ সরাসরি মোংলা বন্দরে ভিড়তে পারবে। বর্তমানে মোংলা বন্দরে বিদেশি বড় জাহাজগুলোকে এখন পর্যন্ত আউটারবারে রেখেই সেখান থেকে পণ্য খালাস করতে হচ্ছে। চলমান এ প্রকল্প শেষ হলেই জাহাজগুলো বন্দরে পৌঁছাতে পারবে প্রায় ১০ মিটার গভীরতার।
হংকং রিভার ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি চীনা কোম্পানি মোংলা বন্দরের প্রবেশ মুখে এ্যাংকারেজ পর্যন্ত ড্রেজিং কাজ করছে। ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর একনেকে এ প্রকল্পটি অনুমোদনের পর দরপত্রে কাজ পাওয়া ওই প্রতিষ্ঠানটি গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ডাইক নির্মাণসহ খনন কাজ শুরু করে।
গতকাল দুপুরে স্পিড বোট যোগে ড্রেজিং কাজের অগ্রগতি দেখতে মোংলা বন্দরের অদূরে আউটারবার এলাকা পরিদর্শনে করেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ভোলা নাথ দে, যুগ্ম সচিব রফিক আহম্মদ সিদ্দিক, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম মোজাম্মেল হকসহ বন্দরের পদস্থ কর্মকর্তারা এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। আশা করা যাচ্ছে, খুব দ্রুতই চলমান প্রজেক্টের কাজ শেষ হবে।
তথ্যসূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক, বাংলাদেশ প্রতিদিন এবং সময়ের খবর.কম