বাঁশখালী উপজেলার শঙ্খ নদের উপর নির্মিত তৈলারদ্বীপ সেতুর দক্ষিণ পাড়ে শনিবার রাত ১০টার দিকে এই ট্রাক দুর্ঘটনাটি হয়।
গ্যাস সিলিন্ডারবাহী ট্রাকটি একটি গাছে সজোরে ধাক্কা দেয়। এর ফলে ট্রাকের সামনের অংশ প্রায় দুমড়েমুচড়ে যায় এবং চালক ট্রাকে আটকে যায়। সে আহত হয় এবং দুমড়েমুচড়ে যাওয়া যাওয়া অংশে তার পা আটকে যায়।
আহত ড্রাইভার অন্ধকারে বের হতে না পেরে চিৎকার করে সাহায্য চায়। তার ভাগ্য সহায় হওয়ায় এক অটোরিকশা যাত্রী চিৎকার শুনতে পায়। অটোরিকশায় থাকা ৪ যাত্রী নেমে রাস্তার পাশে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকটি দেখতে পায়।
তারা কাছে গিয়ে দেখে, ট্রাকের সঙ্গে চালকের বাঁ পা আটকে গেছে!
মর্মান্তিক এই দৃশ্য দেখে অটোরিকশা যাত্রীদের মধ্যে মঞ্জুর নামে একজন চলমান কয়েকটি গাড়ি থামিয়ে লোকজন জড়ো করে। এর মধ্যে পাশের গ্রামবাসীও ঘটনাস্থলে চলে আসে। পরবর্তীতে আরেকটি ট্রাক থামিয়ে দড়ির সাহায্যে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি সড়কে তোলা হয়।
কিন্তু এতকিছুর পরও চালককে বের করা যাচ্ছিল না!
গ্রামবাসীরা চালকের অবস্থা দেখে দেরি না করে দা ও লোহার রড দিয়ে ট্রাকের দুমড়েমুচড়ে যাওয়া অংশের কয়েকটি স্থান ভাঙ্গে। রাত প্রায় ১১টার দিকে চালককে উদ্ধার করেন তারা। উদ্ধারের পর চালকে আনোয়ারা উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আনোয়ারা ফায়ার সার্ভিস থেকে জানা যায়, “তৈলার দ্বীপ সেতুর দক্ষিণে দুর্ঘটনাকবলিত একটি ট্রাকে চালক আটকে আছে, এই তথ্য জানিয়ে একজন তাদের ফোন করেছিল।” তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করেন।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জনাব, রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, “ঘটনা জানার পরে ওই এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে।”
রাতেরবেলা সেই চরম মুহূর্তে অটোরিকশা যাত্রী ও গ্রামবাসীর সহযোগিতার কারণে ট্রাক চালকের জীবন বেঁচে যায়। তারা বিপদের মুহূর্তে সাহায্য করে মানবতার এক দৃষ্টান্তমূলক নজির স্থাপন করেছে।