বাংলাদেশ সরকার, মোংলা বন্দরকে রপ্তানি উপযোগী একটি আন্তর্জাতিক মানের বন্দর করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগই নেওয়া হয়েছে বন্দরটির সক্ষমতা বাড়াতে, কিন্তু মুল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে নদীর অপর্যাপ্ত গভীরতা।
নদীর গভীরতা কম থাকায়, এ বন্দরের জেটিতে বড় জাহাজ ভিড়তে পারছে না। বর্তমান গভীরতা সাড়ে নয় থেকে দশ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত নয়। ফলে ইচ্ছা থাকলেও বন্দরের কার্যক্রম সেভাবে সচল করা যাচ্ছে না। তাই এখন জরুরী হয়ে পড়েছে গভীরতা বাড়ানো। মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এমন তথ্যই জানা গেছে, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে ।
তথ্য থেকে আরো জানা যায়, ৭৯৩ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং ব্যয়ের পুরোটাই আসবে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে যা কিনা বাস্তবায়ন হবে ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে।
মোংলা বন্দরকে রফতানি উপযোগী একটি আন্তর্জাতিক বন্দরে উন্নীত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের চলমান ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন সূত্র।
এ প্রসঙ্গে বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শেখ মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, “২০২১ সাল নাগাদ বন্দরে বছরে এক হাজার জাহাজ ভিড়বে বলে প্রত্যাশা করছি আমরা। আশা করছি বন্দর ব্যবহারকারীদের সেবায় আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত হবে। এছাড়া বন্দরের আধুনিকায়নে কাজ করা, কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং জাতীয় কোষাগারে রাজস্ব জমা দেওয়ার ভিশন নিয়েও আমরা কাজ করছি।”
তিনি আরো বলেন “আন্তর্জাতিক শিপিং লাইন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে জেটি, গুদাম, কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সুবিধাসহ নিরাপদে দিনরাত শিপিংয়ের সুবিধা দেবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া চ্যানেলে পর্যাপ্ত পানির গভীরতা বজায় রাখার সুবিধা এবং সেবা দেওয়া আমাদের ভিশন।
তথ্যসুত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন. কম