সরকার দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোংলা বন্দরকে রফতানি উপযোগী একটি আন্তর্জাতিক বন্দর হিসেবে তৈরি করার লক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। যার ফলে, চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর থেকেও বাড়তি চাপ কমানো সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
খুব শীঘ্রই ১০ থেকে সাড়ে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের জন্য খনন কাজ শুরু করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে বন্দরে ৭ থেকে ৭.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারে।
মোংলা বন্দরের অবস্থান পশুর নদীর পূর্ব তীরে যা বঙ্গোপসাগর থেকে প্রায় ১৩১ কিলোমিটার উজানে। বঙ্গোপসাগর থেকে চ্যানেলের প্রবেশ মুখ যা ‘আউটার বার’ নামে পরিচিত এবং জয়মনিরগোল থেকে বন্দর জেটি পর্যন্ত এলাকা যা ‘ইনার বার’ নামে পরিচিত। এই দু’টি এলাকায় প্রায় ৩০ কিলোমিটার ব্যাপী চ্যানেলে নাব্যতা ৫ থেকে ৬ মিটার।
নৌপথে পণ্য পরিবহনে বাড়তি সক্ষমতা অর্জনের জন্য ড্রেজিং করা হবে মোংলা বন্দর। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে ‘মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং’ প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে।
আসছে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও একনেক চেয়ারপারসনের সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৩ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। জানুয়ারি ২০২০ থেকে জুন ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময়সীমা ধরা হয়েছে।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের আওতায় কাটার সাকশান ড্রেজারের মাধ্যমে ১৫৮ লাখ ঘনমিটার এবং ট্রেইলিং সাকশান হপার ড্রেজারের মাধ্যমে ৫৮ লাখ ঘনমিটার ড্রেইজিং করা হবে। ২ লাখ ঘনমিটার ডাইক ও ৫০ হাজার ঘনমিটার জিয়োটিউব ডাইকও নির্মাণ করা হবে।
বর্তমানে, বাংলাদেশে যেসব কন্টেইনারবাহী জাহাজ আসা যাওয়া করে, সেগুলো পূর্ণ লোড অবস্থায় প্রায় ৯.৫ মিটার ড্রাফটের হয়ে থাকে। মোংলা বন্দরের আউটার বার ও ইনার বারের নাব্যতা সংকটের কারণে কন্টেইনারবাহী ৯.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ মোংলা বন্দরে সরাসরি প্রবেশ করতে পারে না। এই জন্যই ড্রেজিং করা প্রয়োজন হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দর আন্তর্জাতিক মানের হবে।
তথ্যসুত্রঃ বাংলানিউজ২৪.কম